সুখের খোঁজে ভুটানের থিম্পুতে
আনন্দ খুঁজে নিতে চাইলে কতভাবে খুঁজে নেয়া যায়!
জায়গাটা ভুটানের থিম্পু শহরের মোতিথাং নামক এলাকার কাছে। দুই ভাইবোন পুরোনো তার দিয়ে এক অদ্ভুত দোলনা বানিয়ে খেলা করছে।
তবে শুধু এই বাচ্চাগুলোই নয়, আমার দেখা ভুটানের প্রায় সব মানুষই বেশ হাসিখুশি – অন্ততপক্ষে প্রাণোচ্ছল! পাহাড়ি দেশে সর্বক্ষণ কর্মক্ষম থাকার একটা প্রভাব আছে গায়ে গতরে। সাথে আছে বিশুদ্ধ বাতাস। পৃথিবীর সব দেশ যেখানে ক্রমাগত উৎপাদন আর কার্বন নিঃসরণে ব্যস্ত, সেখানে ভুটান পৃথিবীর একমাত্র কার্বন নেগেটিভ দেশ। মানে সবুজে আচ্ছন্ন দেশে উৎপাদিত অক্সিজেনের পরিমাণ কার্বনের পরিমাণকে বহুগুণে ছাপিয়ে গেছে।
যারা জানেন না, তাদের জন্য আরেকটা মজার তথ্য দেই।
ভুটানের প্ল্যানিং কমিশনের নামটা অন্য দেশের সাধারণ অফিসিয়াল নামের মতন না।এর নাম ‘Gross National Happiness Commission’.
এটা তো মোটামুটি অনেকেই জানি,বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি আছে ভুটানের। পরনির্ভরশীল অর্থনীতি, কিংবা ভুটানের প্রশাসনের সক্ষমতা নিয়ে বিতর্ক অনেকে তুলতেই পারেন। কিন্তু আসল কথাটা হল, ভুটানের মানুষজন আসলেই হাসিমুখে থাকে।এরা স্বল্পভাষী,কিন্তু অনেক অতিথিপরায়ন। দেশটাও ছবির মতন সুন্দর।পুরো দেশটা পাহাড় দিয়ে সাজানো।বেশ বড় সংখ্যক বাড়িঘর পাহাড়ের উপরেই। এতে বেয়ে বেয়ে উঠতেই ভুটানিরা স্বচ্ছন্দ।
ভুটানে গাড়িগুলোর কোনো হুড়োহুড়ি নেই।পথচারীরা রাস্তা পার হতে নিলে ড্রাইভার হাসিমুখে গাড়ি থামিয়ে পার হতে দেয়।খুব দরকার ছাড়া হর্ন-ও দেয় না।
অর্থনীতি-বিষয়ক একটা শিক্ষার্থী-সম্মেলনে গিয়েও একটা উপলব্ধি হল। মনে হল, ঠিকই তো আছে! কি হবে এত হুড়োহুড়ি করে!দিনশেষে সবাই তো শান্তিই চাই! Profit Maximize করতে গিয়ে অশান্তি ডেকে এনে লাভ আছে নাকি কোন!